Friday 1 February 2019

স্ত্রী জনন ইন্দ্রিয়ে নিচের অংশ :

স্ত্রী জনন ইন্দ্রিয়ে নিচের অংশ :

 


     মহিলাদের  উরুদ্বয় এর  খা্ঁজের মধ্যে তাদের জনন অঙ্গ বা যৌনাঙ্গের বাইরের অংশটি অবস্থিত । একে  জনন ইন্দ্রিয়ের নিচের অংশ বা lower geniaal tract  বলা হয় । এই বহিরিন্দ্রিয়ের নিচের অংশের দুটি প্রধান কাজ  সঙ্গমের সময় পুরুষ লিঙ্গ থেকে বের হওয়া বীর্যকে ভেতরে, মানে জরায়ুর ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেওয়া । এছাড়া অন‍্যটি হচ্ছে বাইরের রোগ জীবানুর হাত থেকে অন্তজনেন্দ্রীয়কে  রক্ষা করা । মহিলাদের  জনন যন্ত্র পথের মুখ অ‍র্থাৎ প্রবেশপথ দেহের বাইরে অবস্থিত তাই সেই পথ দিয়ে জীবাণুরা সহজে ভিতরে প্রবেশ করে নানা রকম গাইনেকোলজিক রোগর হতে পারে । সাধারণত যৌন মিলনের সময় জীবানুরা মহিলাদের যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ নিয়ে থাকে । এছাড়া মাসিক বা ঋতুচক্রের সময় যারা  প‍্যাড ব্যবহার  না করে ঘরোয়া সাধারন কাপড় ব্যবহার করেন তা থেকেও গাইনেকোলজিক  সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে বা ঘটতে পারে ।
    স্ত্রী দেহের বাইরের অংশের জনন ইন্দ্রিয়ে যে অংশগুলি অবস্থিত চিত্র সেগুলো হচ্ছে কামাদ্রি  বা Mons pubis,  ভগাঙ্কুর বা Clitoris, বৃহৎ ভগৌষ্ঠ বা Labia majora, ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ বা Lsbia minora, যোনিপথ বা যোনিমুখ বা Vagina, ভেস্টিবিউল বা Vestibule,  মূত্রনালী মুখ বা Opening of urethra, সতীচ্ছদ বা Hymen, ফুরচেট্টি (Fourchette )। মহিলাদের বহিজনন্দ্রীয়ের এইসব অংশগুলি সমষ্টিকে বলে ভগ (Vluva) । এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে মহিলাদের স্তন দুটিকে তাদের বহি জনন ইন্দ্রিয়ে অঙ্গ হিসাবে ধরা হয় কারণ মহিলার স্তনের সাথে তাঁদের যৌনাঙ্গের যথেষ্ট সম্বন্ধ রয়েছে ।  সে সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা আলোচনা করা হবে ।

বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ ( লেবিয়া মেজরা ও লেবিয়া মায়নরা ):
     বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ হচ্ছে যোনিপথ বা যোনিমুখের বাইরের দিকে দুটি বড় ও দুটি ছোট দরজা বিশেষ । লেবিয়া মেজরা হচ্ছে যোনিপথের বড় দরজা যা বড় দুটি ঠোঁটের মতো দেখতে বা মাংসালো অংশবিশেষ । এটি উপরের দিকে অবস্থিত মন্স পিউবিস অর্থাৎ কামাদ্রির নিচের দিক থেকে শুরু হয়ে মাঝখানে দুভাগ হয়ে যোনির মুখের দুপাশে দিয়ে নেমে নীচের দিকে পেরিনিয়াম পর্যন্ত চলে গেছে যেখানে দুপাশের চামড়ার অর্থাৎ চর্মের সাথে মিশে গেছে ।
     লেবিয়া মেজোরার ভেতরের মসৃণ অংশে অসংখ সিবেশাস গ্ল্যান্ড এবং ঘর্মগ্রন্থি অর্থাৎ মেদ বা তেল স্রাবী গ্ৰন্থি ও ঘাম ‍ক্ষরণের গ্ৰন্থিও অবস্থিত । মহিলাদের যৌবনের  সমাগমে ( puberty ) এই লেবিয়া মেজরা লোম ঢাকা পড়ে যায় ।লেবিয়া মেজরার ভিতরের দিকে এবং যোনিমুখের উভয় পাশ থাকে ছোট দুটো ঠো্ঁটের ন‍্যায় দেখতে ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠৌ বা লেবিয়া মাইনরা      ক্লিটোরিসের দু পাশ দিয়ে নেমে এটি  যোনিমুখের দুটি ছোটো দরজা বা কপাট তৈরি করেছে । ছোট ঠোঁট দুটি খুব পাতলা, ছোটো ও চওড়ায় দুই ইঞ্চির বেশি নয় । মিউকাস মেমব্রেন দিয়ে গঠিত হওয়ায় খুব নরম হয় । কুমারী মেয়েদের সন্তান হবার আগে মেয়েদের যোনি মুখের এই ছোট দরজা সাধারনতো ভেজা অবস্থায় থাকে । তবে সন্তান হয়ে যাবার পর তা কিছুটা খোলা অবস্থায় দেখা যায় ।

কামাদ্রি :
    মহিলাদের দেহের ঊরুদ্বয়  উদরের নিম্নভাগে অর্থাৎ তলপেটে যেখানে এসে মিশেছে সেই দুই অংশের মাঝের স্থানে কামাদ্রি অবস্থিত ।  সিমফাইসিস পিউবিসের উপর চর্বি এবং মাংস যুক্ত যে উঁচু ঢিবির মাংস যুক্ত যে উঁচু ঢিবির অংশ উপস্থিত তাকে কামাদ্রি বা মন্স পিউবিস বা মন্স ভেনেরিস বলে । এটি মহিলাদেরযৌনাঙ্গের খুব উঁচু ও চওড়া মাংসপিণ্ড বিশেষ এবং বেশ  যৌন অনুভূতিশীল ও যৌন অনুভূতিশীলও । এর নিচেই  দুই লেবিয়া মেজরা বের হয়েছে । যৌবন আগমনে এই কামাদ্রি অংশ লোমে ভরে ওঠে । এছাড়া লেবিয়া মেজরা সহ তার আশপাশের অংশ লোমে ভরে যায় ।

ভগাঙ্কুর :
    ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠদ্বয় অর্থাৎ দুই লেবিয়া মাইনরার একেবারে উপরের জোড়ের কাছে এক টুকরো ঝুলন্ত ‍ক্ষুদ্র উঁচু মাংস পিণ্ড আছে যাকে ভগাঙ্কুর বা ক্লিটোরিস বলে । এটি লম্বায় প্রায় হাফ ইঞ্চি পর্যন্ত হয় । লেবিয়া মেজরাদ্বয় ফাক করলেই এই দুই কপাটের মাথায় অবস্থিত ক্লিটোরিস দেখা যায় । এই ক্লিটোরিসের দিয়ে দু পাশ দিয়ে লেবিয়া মাইনরার দুটি কপাট  আরম্ভ হয়ে নিচের দিকে নেমে গেছে । লেবিয়া মাইনরার উপরের অংশ দ্বারা ক্লিটোরিস ঘোমটার মতন ঢাকা থাকে । এই ক্লিটোরিস হচ্ছে মহিলাদের দেহের অতীব যৌন অনুভূতিশীল স্পর্শকাতর' অংশবিশেষ এটি অংশবিশেষ এটি অংশবিশেষ এটি যৌন অনুভূতিশীল স্পর্শকাতর' অংশবিশেষ । এটি উত্তেজনা পেলে যথা স্পর্শ পেলে বা নড়াচড়া করলে মহিলারা সহজে যৌন কামনায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে । এই ক্লিটোরিসের সাথে পুরুষের স্পেনিশ বা লিঙ্গের অনেক দিক দিয়ে মিল আছে যার জন্য একে পেনিস বা পুরুষাঙ্গের সমতুল্য যন্ত্র বলা হয়ে থাকে । পুরুষের পেনিস এর মত এটিও উত্থানশীল টিস্যু দিয়ে গঠিত হওয়ায় উত্তেজনা পেলে পেনিসের মতোই এটি খাড়া হয়ে ওঠে । ক্লিটোরিসের ওপরে যে ত্বকের আবরণ আছে তাকে prepuc clitoridis বলা হয় । পুরুষাঙ্গের অগ্ৰচ্ছাদার ন‍্যায় এটিও ক্লিটোরিসের অগ্ৰচ্ছাদা । আর ক্লিটোরিসের অগ্রভাগে একটি ছোটো মাংসের গুটি আছে যাকে  glans clitoridis বলে । এটি পুরুষদের গ্ল্যান্স পেনিসে মত এবং ক্লিটোরিসের এই অংশটি সব থেকে বেশি যৌন অনুভূতিশীল অঙ্গ । উত্তেজনাকালে এটি শক্ত ও খাড়া হয়ে ওঠে ও এর প্রেপুসাটি কিছুটা পিছনে সরে গিয়ে গ্ল্যান্স ক্লিটোরিসটি বেরিয়ে পড়ে অর্থাৎ পুরুষদের পুরুষাঙ্গের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়ে থাকে ।

ভেস্টিবিউল (Vestibule ) :
    ভেস্টিবিউল বলতে বোঝায় বিবরদ্বার অর্থাৎ কোন্  অংশে প্রবেশের মুখে যে ফাঁকা বা গহ্বর থাকে তাকে ভেস্টিবিউল বলে । যোনিপথের  বিবরদ্বার বলেতে বোঝায় লেবায়া মাইনরা দ্বয়ের ফাঁক অংশ । এই ভেসিবিউল অংশে থাকে মূত্রনালীর মুখ এবং যোনিমুখ ।এই ভেস্টিবিউল অংশেই  মূত্রনালী এবং যোনিপথের মুখ এসে মিশেছে । যোনিমু হচ্ছে যোনিপথের প্রবেশ পথ । যোনিপথের মুখে একটি পাতলা পর্দা থাকে, এই পর্দাটিকে কুমারী পর্দা বা কুমারীত্ব বা যোনি আবরণী বা সতীচ্ছদ বলে । এটি মূত্রনালী মুখের নীচের দিকে অবস্থিত । কুমারী মেয়েদের যোনীমুখ এই পর্দা দিয়ে আংশিক ভাবে সাধারণত ঢাকা থাকে, কারণ পর্দার মাঝে ছোটো ছিদ্র বা কাটা অংশ ( perforated hymen ) থাকে । মহিলাদের ঋতু দর্শনের সময় এই ছিদ্রপ  দিয়ে মাসিক স্রাবের রক্ত বের হয যায় । কোন কোন মহিলাদের এই ছিদ্রপথ থাকে না, তবে এই পর্দার গঠন যদি পাতলা ও নমনীয় হয় তবে তা প্রথম ঋতু দর্শনের সময় রক্তস্রাবের চাপে ফেটে গিয়ে সতী ছিদ্র পথের সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে ঋতুস্রাবের রক্ত বেরিয়ে আসে । তবে পর্দার গঠন পুরো হলে এবং কোন ছিদ্রপথ না থাকলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।           
    মহিলাদে প্রথম যৌন মিলনের সময় এই পর্দা কিছুটা ছিঁড়ে গিয়ে  তা আরো কিছুটা বড় হয়ে যায় এবং সন্তান প্রসবের সময় তা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । কুমারী মেয়েদের এই হাইমেন ছিন্ন থাকলে আগে মনে করা হতো সে বুঝি আগেই কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলন ঘটিয়েছে  অর্থাৎ তার সতিত্ব নষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু এই ধারণা সব সময় সঠিক নয় তাই আজকাল এই তথ্য একদম নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয় না, কারণ এই হাইমেনের ঘনত্ব বিভিন্ন মহিলাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন বা তফাৎ হতে পারে, অর্থাৎ নমনীয় কিংবা মোটা ও শক্ত হতে পারে । যা যৌন মিলনের আগেও  নানা কারণে যে কোন সময় মেয়েদের অজ্ঞাতসারে ছিড়ে যেতে পারে । যেমন বেশি খেলাধুলা দৌড়ঝাঁপ করা, ঘোড়া চড়া, যোনি মুখে আঘাত লাগা,  অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে, যোনি ধৌত করণ ইত্যাদি ।আবার যে সব মেয়েদের সম্মোহনের অভ্যাস থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এই পর্দা যৌন মিলনের আগে ছিড়ে যেতে পারে ।
 
    কোন কোন মেয়েদের  হাইমেন এতো পুরো এবং শক্ত হয় যে দেখা গেছে বয়ঃসন্ধি কালে তাদের মধ্যে যৌবন আগমনে ঘটে  যৌবনের অন্যান্য সব চিহ্ন দেখা দিয়েছে যেমন স্তনদ্বয় বড় হয়েছে, যৌনাঙ্গে চুলের আবির্ভাব ঘটেছে কিন্তু ঋতুস্রাব হচ্ছে  না, কারণ তাদের এই হাইমেন পর্দা মোটা শক্ত  হওয়ায় সময় মতো তা ফেটে ছিদ্রপথ সৃষ্টি হয়নি, ফলে মাসিক স্রাব এর রক্ত ক্রমশ যোনির মধ্যে জমাহতে থাকছে, এই ভাবে কয়েক মাসের রক্ত জমতে জমতে ক্রমে তা জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবেও ছড়িয়ে পড়ে এবং সব জায়গা রক্তে ভরে ওঠে এর জন‍্য রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে । এই ঘটনার আসল কারণ অনুসন্ধান করে যদি তা হয় বলে জানা যায় তবে যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্রোপচার করে হাইমেন  ফাল করে কেটে অবরুদ্ধ স্রাব বের করে দিতে হবে । যেসব মেয়েদের শক্ত,মোটা ও অছিদ্র হাইমেন তা ঠিক মত  করে কেটে না দিলে সেই সব নারীদের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা থাকতে পারে । কদাচিৎ কোন কোন ঘটনায় এই হাইমেন জন্ম থেকেই থাকে না বা সামান্য একটু অংশ থাকতে পারে ।

যোনি মুখ :
    যোনিমুখ ও যোনিপথ সম্পূর্ণ রূপে মিউকাস মেমব্রেন দিয়ে ঢাকা থাকে, তবে এর ভিতরের গঠন এপিডার্মিস বা বহিঃত্বকের ন‍্যায় ।  যোনি মুখের দুপাশে ডিম্বাকৃতি ছোট ছোট দুটি গ্রন্থি বা গ্ল‍্যাণ্ড থাকে যাদেরকে bartholin's গ্লান্ড বলা হয় । এই গ্ৰন্থি দুটির নালি মুখ এসে খূলেছে যোনিমুখের দু পাশে । যৌন উত্তেজনার সময় এই গ্রন্থি থেকে এক প্রকারের মিউকাস পদার্থ বা চটচটে রস ক্ষরিত হয় ভেস্টিবিউল অংশ এবং যোনিমুখ ও যোনিপথ ভিজিয়ে পিচ্ছিল ও মসৃণ করে ফলে যৌনমিলনে সুবিধা হয় ও পুরুষাঙ্গের প্রবেশ সহজ হয় । এছাড়াও যোনীমুখের বাইরে আশেপাশে আরও অনেক ছোটো ছোটো গ্ৰন্থি থাকে এবং সেগুলি থেকেও ‍ক্ষরিত পিচ্ছিল পদার্থ যোনিমুখ ও যোনিপথ সর্বদা ভিজিয়ে ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে । এই ছোট ছোট গ্ৰন্থিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দুটি Skene's gland , এই দুটি গ্ৰন্থি মূত্রনালির ছিদ্রের দুই পাশে অবস্থিত । তবে সব থেকে বেশি রস বার্থোলিন গ্ৰন্থি থেকে নিঃসৃত হয় । ভ্যাজায়নায় প্রচুর রক্তনালী থাকায় এর ভেতরটা সবসময় লাল দেখায় ।

মূত্রনালী মুখ :
    মহিলাদের মূত্রনালী এবং যোনিপথ সম্পূর্ণভাবে আলাদা থাকে । পুরুষদের যেমন মূত্রনালী এবং পুরুষাঙ্গ এক এবং অভিন্ন যন্ত্র মহিলাদের তা কিন্তু নয় । পুরুষদের লিঙ্গের মধ্যে দিয়েই মূত্রনালী চলে গেছে এবং এটি দিয়ে মূত্র ত্যাগ ও বীর্যস্খলন এই দুটি কাজই সম্পন্ন হয়ে থাকে । মহিলাদের মূত্রনালী দিয়ে কেবলমাত্র মুত্রত্যাগের কাজ সম্পন্ন হয় । মহিলাদের মূত্রনালীর মুখ বা মূত্র ছিদ্র থাকে ক্লিটরিস এবং যোনি মুখের মাঝে । এই ক্লিটোরিস থেকে প্রায় এক ইঞ্চি নিচে মূত্রনালী মুখ এবং মুত্রনালী মুখ থেকে প্রায় আধ ইঞ্চি মত নিচে অবস্থিত যোনিমুখ । পুরুষদের মূত্রনালীযেমন দীর্ঘ হয়   মহিলাদের তা হয় না । মহিলাদের মূত্রনালী ক্ষুদ্র  হয়  এবং যা দেহের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে । ব্লাডার থেকে এই নালী বেরিয়ে ভেস্টিবুলে এসে খুলেছে । মূত্রনালীর মুখ স্ফিংটার পেশি দিয়ে গঠিত বলে ইচ্ছামত মূত্রত্যাগ  ও বন্ধ করা সম্ভব হয় ।

গুহ‍্যদ্বার (Anus):
    গুহ‍্যদ্বার  ও  ভ্যাজাইনার মধ্যবর্তী ফাইব্রোমাস্কুলার স্থানকে পেরিনিয়াম বা বিটপ বলা হয় । এই অংশটি সাধারণত দেড় থেকে পৌনে দুই ইঞ্চির মতো লম্বা । তবে প্রসবের সময়   এই দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ হয়ে যায় । পেরিনিয়াম অংশের ত্বক বা এপিডার্মিস  এর গঠন দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকের মতো একই । এই অংশের ত্বক মোটা এবং শক্ত থাকে ও কখনো  তা আঁশ যুক্ত হতে পারে । দুই লেবিয়া মাইনরার নিচের দিকের প্রান্ত ও যোনিমুখের নিচের অংশে যে অর্ধচন্দ্রাকার ত্বকের ভাজ দেখা যায় তাকে  বলে ফুরচেকট্টি । এটিই হচ্ছে পেরিনিয়াম ও যোনিমুখের সন্ধি স্থান । যৌনক্রিয়ার সময়  অবশ্য এর কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে ।